Your Cart

Your cart is empty

Go find your favorite products and add them to the cart.

Continue Shopping

Sub Total

Tk


Proceed to Checkout

সন্তান প্রতিপালনে স্বামী-স্ত্রীর অসামঞ্জস্য

সন্তান প্রতিপালনে স্বামী-স্ত্রীর অসামঞ্জস্য

✅ঘটনা এক :আপনার দুই বছরের বাচ্চা সন্ধ্যায় মোবাইল দেখতে চাচ্ছে, কিন্তু আপনি কিছুতেই তাকে এই মুহূর্তে মোবাইল দেখতে দিতে চাচ্ছেন না। তার বাবা কিছুক্ষণ পর বাইরে থেকে ফিরে এসে দেখল তার বাচ্চাটি কান্না করছে, কান্না করার কারণ জেনে সে অমনি তার পকেট থেকে মোবাইলটি বের করে দিয়ে বাচ্চাকে বসিয়ে দিল।

✅ঘটনা দুই :আপনি পরিবারের সবার জন্য চা পরিবেশন করলেন ,আপনার ছোট বাচ্চাটি চা খেতে চাচ্ছে ,কান্না করছে। ও যেহেতু ছোট তাই আপনি চাচ্ছেন না ও এখন থেকেই চা খাওয়া শুরু করুক কিন্তু তার দাদা, দাদী /নানা, নানি অমনি তাদের কাপ থেকে ঢেলে চা দিয়ে দিল 😥😥

✅ঘটনা ৩ :বাচ্চা দুপুর বেলা খাবারের আগে বিস্কুট খেতে চাচ্ছে, আপনি প্রথমে না করলেন. কিন্তু বাচ্চা প্রচন্ড কান্নাকাটি করায় কিছুক্ষণ পর আপনি তাকে বিস্কুট দিলেন।

উপরের এই তিনটি ঘটনাকেই প্যারেন্টিং ইনকন্সিসটেন্সি বলে, যেখানে পরিবারে একজন একটা বিষয় করতে না করছে অন্যজন আবার সে বিষয়টা করতে দিচ্ছে অথবা মা নিজেই একটা জিনিস বারণ করে কিছুক্ষণের মধ্যে তার বাচ্চার কান্না থামানোর জন্য আবার অনুমতি দিচ্ছে।

✅ফলাফল স্বরূপ

👉পরিবারের মানুষের মধ্যে এ ধরনের inconsistent বিহেভিয়ারের ফলে বাচ্চার মধ্যে আচরণগত ত্রুটি দেখা দেয়। বাচ্চা কোনটা উচিত আর কোনটা অনুচিত তা বুঝতে পারেনা।

👉বাচ্চা কান্নাকাটি, ভাঙচুর যেকোনো ধরনের খারাপ আচরণের মাধ্যমে তার চাওয়া পূরণ করতে চায়।

👉তার চাহিদা পূরণের জন্য সে ব্ল্যাকমেইল করা শিখে।

এই ধরনের সমস্যা রোধে পরিবারের সদস্যরা কি ভূমিকা পালন করতে পারে তা নিয়ে লিখব পরবর্তী পোস্টে।অবশ্যই আপনারা আপনাদের মতামত জানাতে পারেন।