Your Cart

Your cart is empty

Go find your favorite products and add them to the cart.

Continue Shopping

Sub Total

Tk


Proceed to Checkout

শিশুদের নীরব মহামারী

শিশুদের নীরব মহামারী

আজকের ডিজিটাল যুগে, শিশুরা ক্রমবর্ধমানভাবে ফেসবুক রিলস ও ইউটিউব শর্টস দেখে সময় ব্যয় করছে। ছোট আকারের কন্টেন্ট তাদের আগ্রহী করে তুলছে। যদিও এই ছোট ভিডিওগুলি তারা খুব আগ্রহ সহকারে দেখে, গবেষণায় দেখা যায় এগুলি বাচ্চাদের ব্রেন কে এমনভাবে পরিবর্তন করছে যা সম্পর্কে মা বাবাদের এখনই সচেতন হওয়া উচিত।

১.  আসক্তি

গবেষণায় দেখা গেছে যে শর্টস ও রিলের দ্রুতগতির প্রকৃতি বাচ্চাদের আরো দেখতে আগ্রহী করে, যা শিশুদের জন্য নিজ থেকে দেখা বন্ধ করা কঠিন করে তোলে।

 

২.  মনোযোগের সময় হ্রাস

২০২৩ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা ঘন ঘন ছোট ভিডিও দেখে তাদের স্কুলে মনোযোগ দিতে কষ্ট হয়। বর্তমানে মানুষের গড় মনোযোগের স্প্যান ৮ সেকেন্ডে নেমে এসেছে, যা গোল্ডফিসেরচেয়েও কম!

 

৩. সৃজনশীলতা এবং কল্পনাশক্তি হ্রাস

সৃজনশীলতার জন্য স্বাধীনভাবে খেলা এবং একঘেয়েমি অপরিহার্য। স্ক্রিন আসক্তি শিশুদের কল্পনাপ্রসূত কার্যকলাপে অংশগ্রহণের ক্ষমতা হ্রাস করছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা স্ক্রিনে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে তাদের সমস্যা সমাধান এবং গভীর চিন্তাভাবনা করতে কষ্ট হয়।

 

৪. আবেগগত ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা

স্ক্রিন সময় বৃদ্ধি শিশুদের মধ্যে উদ্বেগ, বিষণ্ণতা এবং বিরক্তির সাথে সম্পর্কিত।

ছোট ভিডিও আসক্তি বাস্তব জীবনের কার্যকলাপগুলিকে "বিরক্তিকর" করে তোলে, যার ফলে মানসিক অস্থিরতা দেখা দেয়।

 

💡 তাহলে সমাধান কি?

তাদের বিরক্ত হতে দিন! একঘেয়েমিকে মেনে নেয়া এবং তাতে খাপ খাইয়ে নেয়া শিশুদের সৃজনশীলতা, সমস্যা সমাধান এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে। স্ক্রিনের দিকে ঝুঁকার পরিবর্তে, তাদের শান্ত মুহূর্ত, কল্পনাপ্রসূত খেলা এবং বাস্তব জগতে কে উপভোগ করতে দিন।