Your Cart
:
Qty:
Qty:
যেভাবে সুদ থেকে বেঁচে থাকা আমায় উদ্যোক্তা বানালো

পড়াশোনায় থাকাকালীন অবস্থায় ই পারিবারিক পছন্দে আমার বিয়ে হয়। আমার হাজব্যান্ড অল্প অল্প করে মোহরানার টাকাটা আলাদা করে একটা ফান্ডে জমা রাখে। সিদ্ধান্ত নেই আমার পড়াশোনার ভার আমার হাজব্যান্ডের উপর দিবোনা, এখান থেকেই খরচ করবো।
পড়াশোনা শেষে ফান্ডে লাখ দুয়েক টাকা রয়ে গেল। আমার হাজব্যান্ড আমাকে প্রতি মাসে প্রয়োজনমতো হাত খরচ দিতো। কিন্তু আমি হাত খরচের জন্য আমার স্বামীর উপর চাপ দিতে চাইলাম না। চিন্তা করতে লাগলাম কিভাবে মাসিক হাত খরচটা এই টাকা থেকে আয় করা যায়। সুদ জঘন্যতম অপরাধের মধ্যে একটা হওয়ায় এই অপশন শুরুতেই বাদ দিয়ে দিলাম। চেষ্টা করলাম অন্য কারো হালাল ব্যবসায় বিনিয়োগ করার।
এরই মাঝে করোনা মহামারী আকার ধারণ করেছে। লকডাউনে দোকানপাট, শপিং মল সব বন্ধ। বাচ্চার জন্য কিছু শিক্ষামূলক খেলনা অনলাইনে কিনতে চাইলাম। তখন সবেমাত্র অনলাইন কেনাকাটা জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছে। শিক্ষামূলক খেলনার অনেক দাম দেখে হতাশ হতে হলো। অধিকাংশ খেলনার দাম ই আমাদের মত মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে।
এরপর কয়েক বছর কেটে গেছে। অন্য কারো ব্যবসায় টাকা বিনিয়োগ থেকে ভালো কোন ফলাফল পেলাম না। আমার মোহরানা'র টাকা অব্যবহৃত পড়ে আছে, আর আমি আমার হাজব্যান্ডের কাছ থেকে মাসিক হাত খরচ নিচ্ছি ব্যাপারটা আমার কাছে খুব ভালো লাগলো না। চেষ্টা করতে লাগলাম কিছু শুরু করার। এর মাঝে ফান্ড থেকে টাকা খরচ করে কিছু কোর্স করে নিজকে প্রস্তুত করলাম।
বাচ্চাদের শিক্ষামূলক খেলনা অনেক দামে কিনতে না পারার কষ্ট আর নিজের মোহরানার অব্যবহৃত টাকা পড়ে থাকার ব্যাপারটি আমায় শিশুদের শিক্ষামূলক খেলনা নিয়ে উদ্যোগ নিতে সাহায্য করলো। জন্ম নিল স্বল্পমূল্যে শিক্ষামূলক খেলনা পৌঁছে দেওয়ার অনলাইন শপ খেলাপড়া।
শিশুদের পড়াশোনা কে খেলার মত আনন্দদায়ক করা আর খেলাকে শিক্ষামূলক করার দৃঢ় ইচ্ছা নিয়ে আপনাদের ভালবাসায় পার হয়ে গেল একটি বছর। দোয়া করবেন যেন সততা নিয়ে ব্যবসা করে আপনাদের মন জয় করতে পারি আর আখিরাতে সৎ ব্যবসায়ীদের কাতারে দাঁড়াতে পারি।
Jannat Muniya