Your Cart
:
Qty:
Qty:
বাচ্চাদের পড়াশোনা

ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে একটা পোস্ট চোখের সামনে পড়ল। যেখানে একজন মা পোস্ট করেছেন যে, তার বাচ্চার পড়া শেষ করতে সন্ধ্যা থেকে রাত দশটা সাড়ে দশটা বাজে। ওনার অভিযোগ ছিল, যে পড়া এক ঘন্টায় শেষ হয়ে যাওয়ার কথা, সে পড়া তার টানা তিন চার ঘন্টা বসে শেষ করতে হয়। কমেন্ট বক্স চেক করে জানতে পারলাম উনার বাচ্চার বয়স মাত্র ছয় বছর।
এখন আমার প্রশ্ন হল এই ছয় বছরের বাচ্চার কি তিন চার ঘন্টা টানা মনোযোগ রাখার ক্ষমতা আছে?
প্রায় অনেক মা-বাবার দেখা যায় একটা ধারণা নিয়ে থাকে যে, সন্ধ্যায় পড়তে বসবে এবং একবারে পড়ে পড়া শেষ করবে!!অথচ ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই ধরনের আশা করা অত্যন্ত অগ্রহণযোগ্য ও ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে চার থেকে আট বছর বয়সী বাচ্চাদের গড় মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষমতা মাত্র ২০-২৫ মিনিট। যেহেতু তারা এর বেশি মনোযোগ ধরে রাখতে পারে না, তাই আপনি যদি মনে করেন একেবারে পড়া শেষ করে উঠবে তার মানে তার পড়া শেষ করতে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সময় লাগবে।ফলাফলস্বরূপ -
পড়াশোনায় অনীহা দেখা দিবে।
পড়া মনে রাখতে পারবে না।
ঠিক সময় পড়া শেষ করতে না পারার কারণে তার আত্মবিশ্বাস নষ্ট হবে। সবচেয়ে বড় কথা পড়াশোনায় ভীতি দেখা দিবে।
করণীয় :
প্রথমে বাবা মায়ের জন্য পরামর্শ থাকবে বাচ্চার জন্য এমন স্কুল নির্বাচন করুন যেখানে ছোট বাচ্চাদের হোম ওয়ার্ক ও পরীক্ষার প্রেসার থাকবে না।
সন্ধ্যার সময় পড়তে বসে পড়া শেষ করবে এই ধারণা থেকে সরে আসতে হবে। দিনের বিভিন্ন সময় অল্প অল্প করে পড়ান।
২০-২৫ মিনিট পর পর ১৫ মিনিটের একটা ব্রেক দিয়ে আবার বসবে।
এই ব্রেক টাইমে বাচ্চারা কোনো ডিভাইস দেখবে না। কারণ এই সময় যদি তারা মোবাইল বা টিভি দেখে তাদের ব্রেইন কিন্তু ব্যস্তই থাকবে ব্রেন রিলাক্স হবে না। এই ব্রেক টাইমে বাচ্চারা দৌড়াদৌড়ি করতে পারে, খেলাধুলা করতে পারে, বাবা মায়ের সাথে গল্প করতে পারে।এর মাধ্যমে ব্রেইনে ডোপামিন নামক হরমোন নিঃসরণ হবে। যা তার ব্রেইন কে শান্ত ও সুখের অনুভূতি দিতে সাহায্য করবে। এর ফলে সে পুনরায় পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে সক্ষম হবে।
ছোটবেলা থেকে বাচ্চাদের আনন্দ নিয়ে খেলার ছলে পড়ানোর চেষ্টা করুন, এতে তারা পড়াশোনা কে ভয় পাবে না। মনে রাখবেন দীর্ঘ সময় পড়ার চেয়ে অল্প সময় মনোযোগ দিয়ে পড়া বেশি কার্যকরী!!
Happy Parenting
Jannat Muniya