Your Cart
:
Qty:
Qty:
কেন বাচ্চাদের ভুল করা দরকার?

“Children learn best when they feel safe. Punishment creates fear, not understanding.”
— Dr. Daniel J. Siegel, author of “The Whole-Brain Child”
শিশু এক একটি ভুল কেবল “শাসনযোগ্য অপরাধ” নয়—বরং এক একটি দারুণ শেখার সুযোগ। আধুনিক শিশু মনোবিজ্ঞান বলে, ভয় বা শাস্তি দিয়ে নয়, বরং সহানুভূতিশীল শেখানোর মাধ্যমেই শিশুদের ভেতরে দায়বদ্ধতা, সততা ও আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়।
🔍কেন ভুল করা দরকার?
প্রত্যেক বড় হওয়ার পথে ভুল একটি স্বাভাবিক ও প্রয়োজনীয় ধাপ। শিশু যখন কিছু শেখে—হাঁটতে শেখা, কথা বলা, গণিতের হিসেব করা—তখন ভুল করেই শেখে। ভুল মানে সে চেষ্টা করছে, শিখছে। আর আপনি যদি তাকে সময়মতো বুঝিয়ে দেন, তাহলে সেই ভুলই একদিন তার সবচেয়ে বড় অর্জনের বীজ হয়ে দাঁড়ায়।
❌ শাস্তির ক্ষতিকর প্রভাব
অনেক সময় আমরা ভেবে নিই, “একটু শাসন না দিলে শিখবে কীভাবে?” কিন্তু গবেষণা বলছে অন্য কথা। বেশি শাসনের ফলে শিশুর মধ্যে দেখা দিতে পারে:
-
আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি
-
মিথ্যা বলার প্রবণতা
-
সম্পর্ক থেকে দূরত্ব
-
নিজেকে অপরাধী মনে করা
-
ভয় বা বিরক্তি থেকে শেখার প্রতি অনীহা
✅ তাহলে কী করা উচিত?
১. ভুলের পেছনে কারণ খুঁজে দেখুন
বাচ্চা কেন ভুল করলো? ক্লান্তি, ভয়, না বোঝা, না শেখানো—সবই হতে পারে কারণ। আগে কারণ বুঝলে সমাধান সহজ হয়।
২. শান্তভাবে কথা বলুন
চিৎকার নয়—শান্তভাবে বলুন, “তুমি এটা করেছো, এতে এমন সমস্যা হয়েছে। এখন আমরা কীভাবে ঠিক করতে পারি ভাবো তো।”
৩. একসাথে সমাধান খুঁজুন
বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করুন, “পরের বার কীভাবে ভালোভাবে করতে পারো?” এতে বাচ্চা নিজেই চিন্তা করা শেখে।
৪. ভালো আচরণ হলে প্রশংসা করুন
শুধু ভুল ধরলেই হবে না। যখন বাচ্চা ভালো কিছু করে, সেটা নজরে এনে প্রশংসা করুন—“তুমি দারুণভাবে নিজের বই গুছিয়েছো!”
৫. শিখতে সাহায্য করুন
যেমন: গ্লাস ফেলে ভেঙে ফেলেছে? শাস্তি নয়, বলুন “কাচ ভঙ্গুর হয়, ধীরে রাখতে হয়। চলো মিলে মুছে ফেলি।”
🧠 মনে রাখবেন
শিশুরা শেখার পথে থাকা নতুন যাত্রী। তাদের ভুলকে যদি ভালোবাসা ও শিক্ষায় রূপান্তর করা যায়, তবেই তারা হবে আত্মবিশ্বাসী, দয়ালু ও বিচক্ষণ মানুষ।