Your Cart
:
Qty:
Qty:
আপনি কোন ধরনের প্যারেন্ট? বিভিন্ন ধরনের প্যারেন্টিং স্টাইল

প্রতিটি মা-বাবারই নিজস্ব এক ধরনের প্যারেন্টিং স্টাইল (শিশু প্রতিপালনের ধরণ) থাকে, যেটা তাদের বিশ্বাস, অভিজ্ঞতা ও পারিপার্শ্বিকতার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। তবে মনোবিজ্ঞানীরা চারটি প্রধান প্যারেন্টিং স্টাইল চিহ্নিত করেছেন। চলুন জেনে নেই কোন ধরনের প্যারেন্টিং আপনার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মেলে, এবং কোনটি শিশুর মানসিক বিকাশে সবচেয়ে সহায়ক।
১. Authoritative (আধিকারভিত্তিক ও সহানুভূতিশীল অভিভাবকত্ব)
এই ধরনের বাবা-মায়েরা শৃঙ্খলা বজায় রাখেন, কিন্তু ভালোবাসা ও সহানুভূতির সঙ্গে। তারা নিয়মকানুন ঠিক করেন, কিন্তু সন্তানের মতামতকে গুরুত্ব দেন।
বিশেষত্বঃ
-
পরিষ্কার নিয়ম, কিন্তু নমনীয় মনোভাব
-
শিশুর আবেগ বোঝার চেষ্টা
-
ভালো আচরণের জন্য উৎসাহ
-
যুক্তিপূর্ণ শাসন
ফলাফল: এই পদ্ধতিতে বড় হওয়া শিশুরা আত্মবিশ্বাসী, দায়িত্বশীল এবং সামাজিকভাবে দক্ষ হয়।
২. Authoritarian (কঠোর ও নিয়ন্ত্রণমূলক অভিভাবকত্ব)
এই পদ্ধতিতে বাবা-মা খুব কঠোর হন, শৃঙ্খলা রক্ষা তাদের প্রধান লক্ষ্য। তারা শিশুদের মতামত খুব একটা গুরুত্ব দেন না।
বিশেষত্বঃ
-
কঠোর শাসন ও শাস্তি
-
"আমি বলেছি, তোমাকে এটাই করতে হবে" এই ধরনের যুক্তি
-
কম সহানুভূতি
ফলাফল: এই ধরনের শিশুরা ভীতু হতে পারে, আত্মমর্যাদা কম হতে পারে এবং অভ্যন্তরীণ দ্বিধায় ভোগে। বড় হয়ে এরা খুব প্রতিবাদি ও হতে পারে। তারা সবকিছুতেই অযৌক্তিক ভাবে প্রতিবাদি হয়ে উঠতে পারে।
৩. Permissive (অত্যন্ত নমনীয় বা বন্ধুবৎ অভিভাবকত্ব)
এই ধরণের বাবা-মা শিশুর সব ইচ্ছা পূরণ করতে চান এবং খুব কম শাসন করেন।
বিশেষত্বঃ
-
নিয়ম নেই বললেই চলে
-
শাসনের চেয়ে ভালোবাসা বেশি
-
শিশুর ইচ্ছা পূরণই প্রধান লক্ষ্য
ফলাফল: শিশুরা আত্মনিয়ন্ত্রণে দুর্বল হতে পারে, নিয়ম মানতে অসুবিধা হয় এবং দায়িত্বহীন আচরণ করতে পারে।
৪. Neglectful / Uninvolved (উদাসীন বা অনুপস্থিত অভিভাবকত্ব)
এই ধরণের বাবা-মা শিশুর জীবনে খুব একটা অংশগ্রহণ করেন না। হয়ত তারা মানসিকভাবে ব্যস্ত, হতাশ বা অক্ষম।
বিশেষত্বঃ
-
অভিভাবকত্বে অনুপস্থিতি
-
যোগাযোগ কম
-
শিশুর প্রতি অবহেলা
ফলাফল: এই পরিবেশে বেড়ে ওঠা শিশুরা আবেগগতভাবে দুর্বল, আত্মবিশ্বাসহীন এবং সমাজে মানিয়ে নিতে কষ্ট পায়।
✅ কোনটা সেরা পদ্ধতি?
গবেষণায় দেখা গেছে, Authoritative বা "সহানুভূতিশীল ও শৃঙ্খলাপূর্ণ" অভিভাবকত্ব শিশুর মানসিক, সামাজিক ও একাডেমিক বিকাশের জন্য সবচেয়ে সহায়ক।
🎯 আপনার জন্য কিছু পরামর্শ:
-
শিশুকে শোনার চেষ্টা করুন
-
নিয়ম থাকুক, তবে কঠোরতা নয়
-
ভালো কাজের প্রশংসা করুন
-
তাদের ব্যর্থতাকে শেখার সুযোগ বানান
-
ভালোবাসা প্রকাশ করুন, প্রতিদিন