Your Cart
:
Qty:
Qty:
বাচ্চাদের খেতে শেখানো

ছোটবেলা থেকেই আমার মেয়ে নিজ হাতে খাবার খায়।ঠিক নিজ হাতে খায়, আমি বলবো না। আমি বলবো, আমি শিখিয়েছি। কারণ আমি বিশ্বাস করি বাচ্চাদের যা শেখানো হয় তারা তাই শেখে। এই শেখানোর পেছনে আমি সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম ফলো করেছি যেমন আমি কখনোই আমার মেয়েকে খাওয়ার সময় ডিভাইস দেইনি, আমরা একই সাথে টেবিলে খেতে বসেছি, কখনো খাওয়া নিয়ে জোর করিনি। যে বেলা খেতে চাইতো না আমি জোর করতাম না পরের বেলা দেখা যেত ঠিকই খেতো। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি খেয়াল রেখেছি একবেলা না খেলেই আমি সাথে সাথে অন্য খাবার অফার করিনি। থাকে পরবর্তী খাবারের সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে এবং নির্দিষ্ট সময় যে খাবার দেয়া হয়েছে দেখা গেছে সেটা ঠিকমতো খেয়েছে কারণ তার ক্ষুধা লেগেছিল।
এখন আসি আসল কথায়, মানুষ দেখা যায় টোটাল শেখানো প্রক্রিয়াটাকে অগ্রাহ্য করে, শুধুই ফলাফলটা দেখে তার নিজের বাচ্চার সাথে তুলনা করে বসে।" দেখো ও খেতে পারে তুমি পারো না"।উপরের ঘটনাটি একটা উদাহরণ মাত্র। সব ক্ষেত্রেই আমার মনে হয় একটি বাচ্চাকে অন্য বাচ্চার সাথে তুলনা না করে,শেখার প্রক্রিয়াটা সম্পর্কে জেনে, সে পদ্ধতি অনুশীলন করাটাই সবচেয়ে বেশি কার্যকরী. প্রতিটি বাচ্চা আলাদা তাদের শেখা ধরন আলাদা। আমি আমার বড় বাচ্চাকে যেই সময় যে জিনিসটা শেখাতে পেরেছি, আমার ছোট দুই বাচ্চাকে তা শেখাতে আমার অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে।তারা দুইজন একই পেরেন্টিং পাচ্ছে, একই সময় একই বাটি থেকে খাবার খায়, তবুও তাদের স্বাস্থ্যগত ও অন্যান্য ডেভেলপমেন্ট এ অনেক ভিন্নতা আছে।যেখানে একই পরিবারের দুই তিনটি বাচ্চা একই রকম হয় না, সেখানে অন্য পরিবারের বাচ্চার সাথে তুলনা করাটা কি আসলেই সমীচীন??
প্রতিটি বাচ্চা ভিন্ন হবে এটাই আমাদের মেনে নিতে হবে।তারা তাদের নিজেদের ধরন অনুযায়ী বেড়ে ওঠে।সেই অনুযায়ী তাদেরকে গাইড করতে হয়।
"তুলনা" শুধুমাত্র আমাদের মানসিক শান্তি নষ্ট করে না বরং তা বাচ্চার আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে, বাচ্চাটি হীনমন্যতায় ভোগে।
Jannat Muniya